Log In

প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক
সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামি হোসেন মিজানকে দ্রুত গ্রেফতার ও মামলা তুলে নিতে প্রাননাশের হুমকির প্রতিবাদে আজ শনিবার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্রাব)-এ এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী এম এম এ কাদের বলেন, সাবেক কর্মচারী হোসেন মিজান আমার পরিবারের সদস্যসহ আমাকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নাম ব্যবহার করে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হোসেন মিজান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এবং জুলাই আন্দোলন ঠেকাতে সশস্ত্র হামলার অন্যতম অর্থ জোগান দাতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা দায়ে নারায়ঙ্গজ জেলা, সিদ্দিরগঞ্জ খানা, মামলা নং-০৯, ৬ জানুয়ারি ২০২৫ এর এজাহার ভুক্ত ১৩ নং আসামী।

হোসেন মিজানের হুমকিতে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এ ব্যপারে আপনাদের সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ ও ন্যায় বিচারের লক্ষে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।

তিনি আরো বলেন, হোসেন মিজানকে আমার নিজের প্রতিষ্ঠান এ.কে. ট্রেডার্স এর কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ দেই। চাকরি করার সুবাদে ধীরে ধীরে হোসেন মিজান আমার বিশ্বস্ত হয়ে ওঠে। দীর্ঘ সময় চাকরি করার পর ২০০৫ ইং সালের দিকে হোসেন মিজান ঠিকাদারী লাইসেন্স করে। ঠিকাদারি কাজের জন্য হোসেন মিজানের মূলধন না থাকায় স্ট্যাম্প চুক্তিপত্র করে ব্যবসায়ীক লভ্যাংশ দেয়ার শর্তে আমার কাছ থেকে কয়েক ধাপে ২০০৫ ইং থেকে ২০১৭ ইং পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে টাকা নেয় এবং হিসাব করে করে আমাকে বিভিন্ন তারিখের তার স্বাক্ষর করা চেক দেয়। চেকগুলো ডিজঅনার হলে আমি প্রথমে উকিল নোটিশ এবং পরে মামলা দায়ের করি। এর পর হোসেন মিজান একের পর এক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের হত্যার হুমকি দেয়া শুরু করে।

ইতিমধ্যে হোসেন মিজানের নামে অর্থ আদায় মামলা, প্রতারণা, সাইবার ক্রাইম, চেক ডিজঅনার মামলা সহ ৮টি মামলা চলমান রয়েছে। আমার দায়ের করা মামলায় হোসেন মিজানকে দোষী সাব্যস্ত করে এক বছরের কারাদণ্ড ও চেকের সমপরিমাণ টাকা প্রদানের আদেশ দিযেছে ঢাকার বিশেষ যুগ্ম দায়রা জজ ও পরিবেশ আদালত। ১০/০৯/২০২৪ ইং তারিখে ওয়ারেন্ট ইসু করা হয়। এ ব্যপারে আমি ৬ বার ভাষানটেক থানার ওসির সাথে দেখা করেছি কিন্তু ভাষানটেক খানার পুলিশ এখনো তাকে গ্রেফতার করতে পারে নাই। বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় তাকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী এম এম এ কাদের বলেন, আমার ছোট ছেলে মোস্তফা নবী-ফাইয়াজ জীবনের বেশীরভাগ সময় কাটিয়েছে বিদেশে। তাকেও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র হত্যার দায়ে ১৪ টি মিখ্যা মামলার আসামী করা হয়? সে কিভাবে ছাত্রলীগের নেতা হয়?

তাই আমি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি যে, একজন নিরপরাধ নিরীহ ব্যাক্তি ও তাঁর পরিবারে সম্মান হানি থেকে পরিত্রান সহ আমার ও আমার ছেলের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলায় ন্যায় বিচার প্রাস্তিতে সহায়তা করুন। এবং আমি আপনাদের মাধ্যমে এ বিষযে মাননীয় আইন উপদেষ্ঠা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যেনো আমি যথাযথ আইনি সহায়তা পাই।

সময়ের বাণী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *