থানায় ডেকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় দম্পতিকে ফাঁসানোর অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজশাহী জেলার তানোর থানার এস,আই নাজমুলের বিরুদ্ধে দম্পতিকে থানায় ডেকে নির্যাতন ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও ওই দম্পতির কাছ থেকে নগদ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই এস,আই । থানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে গেলেও মিলছে না এর সুরাহা। এই অবস্থায় ওই এস আই এর বিচার দাবি করেছেন জহিরুল ইসলাম। রোববার (২৩ মার্চ) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।
জহুরুল ইসলাম জহির বলেন, রাজশাহী জেলার তানোর থানার এস,আই নাজমুল হঠাৎ তার মুঠো ফোনে তার পরিচয় দিয়ে আমাকে থানায় আসতে বলে এবং বলে আপনি থানায় আসেন, রোজিফা নামক এক মহিলা জমির বিষয়ে আপনার নামে অভিযোগ করেছেন, তাই ওসি সাহেব আপনাকে জমির কাগজ নিয়ে দেখা করতে বলেছেন। যদি না আসেন তাহলে আমি আপনার উপরে ব্যবস্থা নিব। আমি তাহার ফোনের কথায় হতবাক হই। কারণ উক্ত থানায় আমার নামে কোন মামলা, অভিযোগ বা ওয়ারেন্ট নাই বা আমি আসামীও না। পরবর্তীতে আমাকে আবারো ফোন দেওয়া হয় উক্ত থানায় আসার জন্য। তাই আমার স্ত্রী সহ নিজে থানায় হাজির হই ওসি সাহেবের সাথে দেখা করার জন্য ।
তিনি আরো জানান, থানায় প্রবেশ মূহুর্তের আগেই আমার স্ত্রীর কাছে থাকা ব্যাগ লক্ষ্য করে উক্ত এস, আই বলেন এই ব্যাগে কি আছে? আমি ও আমার স্ত্রী তাকে জানাই যে, জমির কাগজ আর ডিম বিক্রির টাকার আছে। উক্ত এস, আই বলেন টাকা নিয়ে থানার ভিতরে যাওয়া যাবে না। টাকাগুলো রেখে যান, নয়তো ওসি সাহেব মনে করবেন আপনি কাউকে ঘুষ দেওয়ার জন্য টাকা নিয়ে এসেছেন। আমার স্ত্রীর ব্যাগে থাকা ডিম বিক্রয়ের ১,৭০,০০০ টাকা উক্ত এস,আই সাহেব তার নিজের কাছে রেখে থানার ভিতরে নিয়ে যায়। অন্য রুমে বসিয়ে রেখে কয়েক ঘন্টা পর বিষয়টি রহস্যজনক মনে হলে উক্ত থানার কুঠিপাড়া নিবাসী মাছ ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মোঃ জালালকে ফোন দিলে তিনি থানায় আসেন এবং তিনি থানার উক্ত এস, আইকে জিজ্ঞাসা করেন, জহির ভাইকে থানায় বসিয়ে রেখেছেন কেন?
তখন এস,আই বলেন যে ওসি সাহেব তার কাগজপত্র দেখবে। মধ্যরাত পর্যন্ত বসিয়ে রেখে বিভিন্ন রকমের ১১টি ধারা দিয়ে কাগজপত্র ডকুমেন্টস ছাড়া উক্ত থানায় আমাকে আটকিয়ে দেয়, আর বের হতে দেয়নি। আমি এবং আমার স্ত্রীকে সারারাত থানায় বসিয়ে রেখেছে। কোর্টে গিয়ে জানতে পারি মোছাঃ বকুল খাতুন নামে একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন কোন কাগজপত্র বা ডকুমেন্ট ছাড়া।
জহির আরো জানান, থানায় ডেকে কাউকে গ্রেফতার করা বা ডকুমেন্ট ছাড়া জেল হাজতে প্রেরণ করার বিধান আছে কি সেটা আমার জানা নেই এবং রাজশাহী কোর্টের থানা হাজতে প্রেরণ করার সময় উক্ত টাকা এস,আই নাজমুল উক্ত টাকা ফেরৎ দেন নাই। আমি জামিনে বের হয়ে তার কাছে মোবাইলে টাকা চাইলে লাইন কেটে দিয়ে আমার নাম্বারটি ব্লাক লিস্টে ফেলে দেয় এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ও মালিকানা জমিকে খাস জমি এবং মুসলিম মহিলাদ্বয়কে ক্ষুদ্র গোষ্ঠি আখ্যা দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করেন। তার প্রচারিত সংবাদ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
মিথ্যা মামলার বাদী মোছাঃ বকুল খাতুন, এস, আই নাজমুল এবং তারেক মাহমুদ ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার, মিথ্যা মামলা এবং কাগজপত্রহীন উক্ত এলাকার বাসিন্দা নয় এমন ব্যক্তিদ্বয়ের পক্ষ নেওয়ায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি এবং বকুল খাতুন ও রোজিফা উক্ত তানোর থানার নবনবীর বাসিন্দা বা থানার অধিনস্থ তাদের নামে কোন জমি নাই এবং ক্ষুদ্র গোষ্ঠি কেউ প্রমাণ করতে পারলে তাকে এক লক্ষ টাকা পুরষ্কার দিব বলে জানান জহির।
অদূর ভবিষ্যতে যাতে করে কোন সাধারন জনগনকে এরুপ হয়রানির শিকার হতে না হয় তার জন্য দুষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেন এই দম্পতি ।