অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জাতীয় সংস্কার জোটের ৮ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৮ দফা দাবি জানিয়ে অবিলম্বে বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সংস্কার জোট। ৮ দফা দাবিগুলো হল- অবিলম্বে জুলাই সনদ ঘোষণা করা, সংস্কার কাজ সম্পন্ন করা , বিচারের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, সংসদ নির্বাচনের ৩ মাস পূর্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করা, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আহতের উন্নত চিকিৎসা দিয়ে নিরাপত্তা প্রদান ও নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা এবং রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজিকরণ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য আগের সকল নিয়ম বাদ দিয়ে সকলের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার পথ উন্মুক্ত করা। আজ শনিবার (২১ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জাতীয় সংস্কার জোট আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব দাবি জানান।
৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা সরকারকে অবিলম্বে আমাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানাচ্ছি, তানাহলে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।
এসময় তারা- দেশবাসী, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও ছাত্র-জনতা সকলকেই জনআকাঙ্খার এ দাবীিগুলো বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। বক্তারা বলেন, সংস্কার নিশ্চিত না করে নির্বাচন হলে দেশ ও জাতীর কোন পরিবর্তন হবে না এবং শহীদের রক্ত বৃথা যাবে। এজন্য আমাদের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন করা অতীব জরুরি।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জনতার দেশ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান সাবেক প্রতিমন্ত্রী গোলাম সরোয়ার মিলন, নৈতিক সমাজের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আমসাআ আমিন, জনতার পার্টি বাংলাদেশ এর মহাসচিব শওকত মাহমুদ, এনপিপির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু প্রমুখ।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় সংস্কার জোটের আহ্বায়ক মেজর আমীন আহমেদ আফসারী (অব.)। জাতীয় সংস্কার জোটের সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিমের পরিচালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- জোটের প্রধান সমন্বয়ক প্রফেসর এ আর খান, নির্বাহী সমন্বয়ক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ নূরসহ জাতীয় সংস্কার জোটের ৫টি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দলের নেত্রীবৃন্দ।
জাতীয় সংস্কার জোটের অন্তর্ভুক্ত ৫টি জোট ও ৩৫টি রাজনৈতিক দল/সংগঠন রয়েছে। ৫টি জোট হলো- ১। জাতীয় সংস্কার জোট। ২। গণমুক্তি জোট। ৩। বাংলাদেশ স্বতন্ত্র প্রার্থী ঐক্য পরিষদ। ৪। গণ বিপ্লবী জোট। ও ৫। সম্মিলিত ইসলামী ঐক্য জোট।
৩৫ টি রাজনৈতিক দল/সংগঠন হলো- ১। বাংলাদেশ সংস্কার পার্টি। ২। ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এফডি পার্টি)। ৩। জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি। ৪। বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি। ৫। বাংলাদেশ নতুনধারা জনতার পার্টি। ৬। ইসলামী সাম্যবাদী দল। ৭। গ্রীনপার্টি বাংলাদেশ। ৮। জাতীয় পল্লী পার্টি। ৯। বাংলাদেশ জাতীয় লীগ। ১০। ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। ১১। বাংলাদেশ লিবারেল গ্রীন পার্টি। ১২। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পার্টি। ১৩। বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। ১৪। স্বতন্ত্র ঐক্য প্রক্রিয়া। ১৫। জাতীয় অধিকার মঞ্চ। ১৬। প্রগ্রেসিভ পিপলস পার্টি। ১৭। গণ কংগ্রেস। ১৮। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি। ১৯। বাংলাদেশ পিপলস পাওয়ার পার্টি। ২০। বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি। ২১। নতুন বাংলাদেশ পার্টি। ২২। জাতীয় প্রগতিশীল কাউন্সিল। ২৩। বাংলাদেশ শ্রমজীবী পার্টি – বিএসপি। ২৪। বাংলাদেশ মাতৃভূমি দল। ২৫। বাংলাদেশ গ্রামীণ পার্টি। ২৬। হৃদম কালচারাল সোসাইটি। ২৭। ন্যাপ ভাসানী। ২৮। সাবাস বাংলাদেশ। ২৯। বাংলাদেশ গণ বিপ্লবী পার্টি। ৩০। যুব কমান্ড। ৩১। বিপ্লবী জাতীয় পার্টি। ৩২। তৃনমূল নারী সংগঠন। ৩৩। বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িক দল। ৩৪। ছাত্র কমান্ড। এবং ৩৫। ঐক্যবদ্ধ মুসলিম সমাজ।